ঢাকার সাভারে পুলিশের বাধায় বিএনপির এক নেতা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন। বিএনপির ওই নেতার নাম খোরশেদ আলম। তিনি ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। বেলা একটায় পুলিশ চলে গেলে মুক্ত হন ওই নেতা।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও সাভার বিএনপির একাধিক নেতা–কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাভারের ছায়াবীথি এলাকায় খোরশেদ আলমের শ্বশুরের বাসভবনের সামনে থেকে কয়েকটি মাইক্রোবাসে করে নেতা–কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আজকের দলীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল খোরশেদের। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে সাভার মডেল থানা–পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির ওই নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
নেতা–কর্মীদের দাবি, সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আনা কয়েকটি মাইক্রোবাসের চাবিও নিয়ে যায় পুলিশ। বেলা দেড়টার পর পুলিশ সেখান থেকে সরে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের চাবি ফিরিয়ে দেয় তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসভবন–সংলগ্ন একাধিক দোকানদার প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তাঁদের ভাষ্য, সকাল থেকে পুলিশের তিনটা গাড়ি মূল সড়ক থেকে খোরশেদ আলমের শ্বশুরের বাসভবনে ঢোকার সড়কে অবস্থান নেয়। বেলা একটার পর তারা চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবিদ হোসেন বলেন, ‘সমাবেশে যাওয়ায় বাধা দিতে সকাল থেকে তিনটি পুলিশ ভ্যানে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্য খোরশেদ ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাসার মূল ফটকের সামনে অপেক্ষা করেন। ওই বাসা থকে কোনো নেতা-কর্মীকে বের হতে দেয়নি পুলিশ।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘সাভারের নেতা–কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ৭০টি হায়েস গাড়ি (মাইক্রোবাস) ভাড়া করা হয়। সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটির ফটকে নেতা–কর্মী ও গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে সাভার মডেল থানার পুলিশ গাড়িগুলো আটকে ১৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। তারা আমাকেও বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ চলে যায়। চাবিও চালকদের ফিরিয়ে দিয়েছে।’
কাউকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সারা দিনই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। কাজের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় পুলিশ যেয়ে থাকতে পারে। তবে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ একদমই সত্য নয়। খোরশেদ হয়তো নিজেই সমাবেশে যেতে চাননি, তাই বাসায় রয়ে গেছেন।’