জেলায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করণ ও মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখার দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সাড়ে পাঁচ লাখ এমপিও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সঙ্গে সরকার বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। অথচ বেসরকারি শিক্ষকরাই শিক্ষার ৯৬ ভাগ দায়িত্ব পালন করছেন। মাত্র ৪ ভাগ দায়িত্ব পালনকারিদের যত সুযোগ-সুবিধা। এ পাহাড়সম বিরাজমান বৈষম্য দূর করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে জাতীয়করণ।
তাঁরা বলেন, দেশের মাত্র ৭৪৫৩টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে অনুদানভুক্ত রয়েছে ১৫১৯টি, যারা নামমাত্র অনুদান পাচ্ছেন। ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাব্বিশ হাজার রেজিস্ট্রার্ড প্রাইমারি জাতীয়করণ করেন। অথচ ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণতো দূরের কথা অনুদানভুক্তও হয়নি। ফলে ইবতেদায়ী শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মাদ্রাসাশিক্ষা অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। তাই ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় করণ করতে হবে।
আরও বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া দেওয়া হয় মাত্র ১০০০ টাকা, যা হাস্যকর ও অযৌক্তিক। সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় ৪০% ভাগ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী প্রজন্মকে মাদক দুর্নীতি ও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই শিক্ষার সব স্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
জেলা জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আলহাজ মাওলানা আনছার উল্লাহ আনছারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাস্টার মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাওলানা আর.আই.এম অহিদুজ্জামান, জেলা কমিটির উপদেষ্টা মো. সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবুল হাসান বোখারী ও সহ-সুপার মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন জাফর, সহকারী শিক্ষক মাস্টার মো. ছিদ্দিকুর রহমান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. আল আমিন, মাওলানা বশির উল্লাহ নোমানী, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, মাওলানা ফোরকান মাহমুদ, মাওলানা আলিম প্রমুখ। বক্তারা উক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল বশার।