চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়ি। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরের চৌমুহনী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতের নগর শাখার নেতা-কর্মীরা জুমার নামাজের পর নগরের আগ্রবাদ বাদামতলী মোড় থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। তখন মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ সময় জামায়াত ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী পুলিশের একটি গাড়ি সামনে পেয়ে তাতে হামলা চালান। ওই গাড়ির ভেতরে পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা ছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে বের হলে তাঁকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
আহত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের একটি গাড়ির সামনের কাচ ও পাশের একটি কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া পেছনের কাচটিও ভাঙা। সম্পূর্ণ গাড়িতেই ইটপাটকেলের দাগ।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ২১ কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের নগর শাখার নায়েবে আমির আজম ওবায়েদ্দুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা আমাদের কর্মী নন।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর চৌমুহনী মোড় এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।