সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় ১৬৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে একপক্ষ।
সোমবার (১৭ জুলাই) শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার রাতে এ ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক ও বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে মালদার মিয়ার পক্ষের ১৬৩ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
নিহতরা হলেন, হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) ও আছির মাহমদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০)।
জানা গেছে, রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সরাইমরল ও মালদার এই দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সরাইমরল পক্ষের নুরুল হক ও বাবুল মিয়া নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে মালাদার পক্ষের শাহজাহান মিয়া নামে আরেকজন ছাতক কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন ছিলেন আহত বৃদ্ধা মুখলেছুর। পরে সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। নিহত বৃদ্ধা গ্রামের মালদার পক্ষের লোক। তবে ওই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে মালদার মিয়ার গোষ্ঠির ৬৯ জন ও নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে ৯৪ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, রোববার রাতে নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক ও বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গ্রহণ হয়েছে।