এটি একেবারেই নতুন শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা নিজেরাও এতে অভ্যস্ত না। তবুও প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক এই শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাব।
আগামী জানুয়ারি থেকে নবমে চালু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আলাপকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারি থেকে দেশে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। এতে বিভাগ পদ্ধতি থাকবে না। সবাইকে সব বিষয় পড়তে হবে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে অনেকেই নতুন এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলতি বছর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বছরজুড়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষকরা ষষ্ঠ ও সপ্তমের নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিচিত হয়ে পাঠদান করছেন। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নও করিয়েছেন। যে শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তমে পাঠদান করছেন সেই শিক্ষকই নবমে পাঠদান করবেন। অতএব, আগামী জানুয়ারি থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলেও শিক্ষকদের পাঠদানে সমস্যা হবে না। এমনিতেই তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাকি দিনগুলোতে তারা আরো প্রশিক্ষণ নেবেন। যত প্রশিক্ষণ তত অভ্যস্ততা।
আগামী জানুয়ারি থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হলেও বহু শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বলেছেন, তারা শিক্ষা প্রশাসন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি পাননি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, এখানে চিঠির প্রসঙ্গ কেন আসবে। মন্ত্রী মহোদয় দফায় দফায় নতুন শিক্ষাক্রমের কথা বলে আসছেন। শিক্ষকরা যেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেখানেও বলা হচ্ছে, আগামী জানুয়ারি থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জেনেই গেছেন নতুন শিক্ষাক্রমের কথা। এখানে আবার চিঠি দিতে হবে কেন? তারপরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি নির্দেশ দেয় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা চিঠি দেব।