মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, সরকার পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের জাতীয়করণের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়করণের বিষয়ে যৌক্তিকতা, কার্যকর নীতিমালা তৈরি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি সাগুপ্তা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ১৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশ নেন।
বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী অন্য সদস্যসহ সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
বৈঠকে ১৮তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা ও সমাধানের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি নির্ধারণে সুপারিশ করা হয়েছে। নির্ধারণপূর্বক প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে একাদশ জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
এছাড়া এটি একটি নীতিনির্ধারণী বিষয় হওয়ায় বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কমিটি বিএসি উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ও অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয়সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।