নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্যে থাকা গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিল আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান। শনিবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে রাশেদ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১০ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের প্রথম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে সবার দোয়া, সমর্থন ও ভালোবাসা চাই।’
গত ৬ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ডের নির্বাচন কমিশনার আরিফুল ইসলাম তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিনই সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দেন বর্তমান সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা এবং জেলা, মহানগর পর্যায়ের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব ভোটার বলে গণ্য হবেন। মনোনয়নপত্র তোলার শেষ সময় ছিল ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। প্রার্থীরা অফলাইন ও অনলাইনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
অফলাইন ও অনলাইনে ভোটও দেওয়া যাবে। শনিবার (৮ জুলাই) যাচাই-বাছাই শেষ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। রোববার (৯ জুলাই) প্রার্থী ও ভোটারের আপত্তি নিষ্পত্তি ও সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উচ্চতর পরিষদের ভোটগ্রহণ করা হবে।
তফসিলে বলা হয়, এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা ও বিদ্বেষ ছড়াতে পারবেন না। ভোটারকে প্রভাবিত করা, হুমকি, ভয়ভীতি দেখানো ও ঘুস দেওয়ার কোনো তথ্য প্রমাণ পেলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ড প্রধান বরাবর অভিযোগ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে প্রত্যেক প্রার্থী এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন। প্রার্থীদের মনোনীত এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান ও ভোট গণনা স্থান পরিদর্শন করতে পারবেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড অনুমোদিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক টিম থাকতে পারবে।