স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে উদ্দেশ্যে করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেছেন, একদিকে সরকারি সুবিধা নিবেন, আরেক দিকে শিক্ষক নেতা সাজবেন এটা হবে না। সঞ্চালকের কথার সূত্র ধরে তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেতো সরকারের কাছে ন্যায্য দাবিদবা তুলে ধরতে পারে না। আপনি একদিকে সরকারি সুবিধা নিবেন আবার আরেক দিকে শিক্ষক নেতা সাজবেন এটা হতে পারে না।
৭ আগস্ট সোমবার দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক পেইজে এক লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতা সেলিম ভূঁইয়া, যিনি গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামী, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী। আসামী থাকা অবস্থায় কিন্তু অবসরে চলে গেছেন। তার ৬০ বছর হয়ে গেছে। আমি তৎকালীন গভর্নিংবড়ির সভাপতিকে জিজ্ঞেস করলাম সেলিম ভূঁইয়ার কাগজপত্রগুলো কি আপনি প্রস্তুত করে দিয়েছেন? তিনি আমাকে বললেন- না আমার কাছ থেকেতো কোনো স্বাক্ষর নেয়নি। এখন আমাদের প্রশ্ন হলো, আমরা সকলেই জানি কল্যাণ এবং অবসরের কাগজপত্র জমা দিতে হলে সভাপতির স্বাক্ষর নিতে হয়। সভাপতি স্বাক্ষরিত অনেক কাগজপত্র জমা দিতে হয়। একজন অধ্যক্ষ হিসেবে তার কাগজপত্র যখন কল্যাণ ট্রাস্টে গেছে তখন এই কাগজপত্র যথাযথ ছিল না! কিন্তু তারপরও আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের যিনি দাবিদার স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারি যাদের পক্ষে সারাক্ষণ বিষেদগার করেন সেই বিএনপিপন্থী নেতাদেরই আগে সুবিধা দিয়ে দেন। এবং সেটা অনৈতিকভাবে। আমাদের জানার ইচ্ছে কিসের বিনিময়ে তিনি এই সুবিধাগুলো দেন?