মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১০ম দিনের (২১ জুলাই) মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে এ কর্মসূচি চলছে।
গত বুধবার বিকাল ৩টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বসেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠক শেষে বিটিএ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের ডেকেছিলেন। আমাদের দাবি একটাই, জাতীয়করণ। এর বাইরে আর কোনো কিছু আমরা চাই না। তবে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমাদের আন্দোলন চলবে। যতই হুমকি ধামকি আসুক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চাই। তার আগে ফিরে যাবো না। প্রয়োজনে প্রেসক্লাবে আমরণ অনশনে বসবো।
শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে সরকারিকরণের দাবি নিয়ে রাজপথে অবস্থান করছেন। কোনো নোটিশে তারা ফিরে যাবেন না। সরকারিকরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা রাজপথেই থাকবেন।
বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের এক দফা ঘোষণা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫টা মিনিট বসতে চাই। তাহলে সব সমস্যা সমাধান হবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারিকরণের ঘোষণা দিলে আমরা রাজপথ ছেড়ে দেবো। আর দাবি আদায়ে যে কয়দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থেকেছে সে কয়দিনের ছুটি গ্রীষ্মকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করবো।
গত ১১ জুলাই থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিটিএ নেতারা। গত ১৬ জুলাই থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি পালন করছেন তারা।